আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। যেদিন এ দেশে এসেছিলাম সেদিন বুঝেছিলাম বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আর আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, বাংলাদেশ আরও সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সব কিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন করা। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে আরও উন্নত করবো, এজন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করেছিলাম আমরা। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অল্প সময়ের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান দিয়েছেন, রেল সেতু, সড়ক সেতু পুনর্নির্মাণ করেছেন। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। তখন বিদেশে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ছয় বছর পর দেশে এসেছি। বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভরসা করে ফিরে এসেছিলাম। এরপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছি।
বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছিল বিএনপি-জামায়াতের কাজ। এদের আমলেই ময়মনসিংহের চার সিনেমা হলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি সব সময় অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে।
আরও পড়ুন- ভবানীগঞ্জ সমাজ কল্যাণ সংঘের নব-নির্বাচিত কমিটির সংবর্ধনা
ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে। দেশে লুটপাট ও ধ্বংসের রাজনীতি চালু করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ধ্বংস করে। আর আওয়ামী লীগ করে উন্নয়ন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কেউ অন্ধকারে থাকবে না। থাকবে না কেউ গৃহহীন। কোনো ভূমিহীনও দেশে থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। সামনের দিনে এ কাজ অব্যাহত থাকবে। বিএনপির আমলে দেশে ৪১ ভাগ দারিদ্র্যের হার ছিল। এখন সেটি ২০ ভাগে নেমে এসেছে।