biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাMonday , 7 November 2022
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • জানুয়ারিতে ডলারের চাপ কেটে যাবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর

    Link Copied!

    আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ডলারের চাপ যেন কেটে যায় সরকার সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ওপর একটা চাপ আছে। অবশ্য ঋণপত্র খোলার জন্য যে বাড়তি চাপ তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।’

    রবিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের ২০ তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    সরকার প্রধান তাঁর বক্তব্যে দেশের আমদানি–রপ্তানি পরিস্থিতি, রিজার্ভ, বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিসহ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

    যে কোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে কী হতে যাচ্ছে সেটা একটা আশঙ্কার ব্যাপার। উন্নত দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের তো ভুগতেই হবে। আমি তো বলেছি, আমাদের তৈরি থাকতে হবে যেকোনো অবস্থায়। আমরা তো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। মানুষ যেন সুস্থ থাকে।’

    আরও পড়ুন-  কিশোর গ্যাংয়ের সেই ‘বড়-ভাই’কে খুঁজছে পুলিশ

    দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির বিশদ বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে সবাই আলোচনা করে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন রিজার্ভ পাই ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা ক্ষমতায় এসে কিছুটা বাড়িয়েছিলাম— প্রায় ৪ বিলিয়নের কাছাকাছি চলে আসি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে রিজার্ভ পাই ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন কিন্তু এত রিজার্ভ নিয়ে এত আলোচনা হয়নি। ৮ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে রিজার্ভ ছিল ১৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ দফা ক্ষমতা গ্রহণের সময়, ৭ জানুয়ারি ২০১৯, তখন রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের ৩০ জুন রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালের ৩০ জুন ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের ৩০ জুন ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। করোনায় কমে যাওয়ার পর সবকিছু উন্মুক্ত হওয়ায় আমাদের আমদানি বাড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রিজার্ভ কমতে থাকল।’

    সরকার প্রধান বলেন, ‘৩ নভেম্বরে আমাদের রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেটা নিয়ে অন্তত পাঁচ মাসের আমদানি করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তিন মাসের আমদানি করার মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট।’

    ‘রিজার্ভ গেল কোথায়? শুধু বললে তো হবে না। আমরা বিনা পয়সায় করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছি। এই ভ্যাকসিন কিন্তু ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। সিরিঞ্জ কিনতে হয়েছে। করোনাকালে চিকিৎসাকর্মীদের আলাদা ভাতা দিয়েছি।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছি। তাদের ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিয়ে যাচ্ছি। তেল, চিনি, ডাল কম মূল্যে সরবরাহ করে যাচ্ছি।’

    আরও পড়ুন-  হাতির পিঠে সালমান শাহ

    দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনটা বাড়ানো। আমদানি করা জিনিসের ওপর নির্ভরশীলতাটা কমানো—সেই জিনিসটা আমাদের করতে হবে। সঙ্গে রপ্তানি বাড়ানো, কোন দেশে কী পণ্য রপ্তানি করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’

    সরকার সার্বিক বিষয়ে সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে বসেছি। হ্যাঁ, সামনে কী হতে যাচ্ছে সেটা একটা আশঙ্কার ব্যাপার। এখন থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই বিষয়টি পর্যালোচনা করা। ভবিষ্যতে আমাদের কী করণীয় সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিলাসদ্রব্যের আমদানি কমাতে হবে। বা এর ওপর আমাদের ট্যাক্সও বসাতে হবে বেশি করে।’

    সরকারের ঋণ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘সরকারি ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৬ শতাংশ। বৈদেশিক ঋণ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আমরা কোনো দিনই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। আমরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে যাই। আমরা কখনো ডিফল্টার হইনি। ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ্ হব না।’

    অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনীতিটা ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাইকে বলব, প্রত্যেককে কিছুটা কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে। অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। মোবাইল, টিভি, টেলিফোন… যা কিছু। আসলে লালবাতিটা যদি জ্বলা থাকে বিল ওঠে। প্রতিটি পরিবার এ ব্যাপারে সচেতন হয়। এই সুইচগুলো বন্ধ রাখলে বিলটা কম উঠবে।’

    দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দামি গাড়ি না চালালে… আমাদের আঙুর-আপেল না খেলে কী হয়? এখন তো আমাদের দেশীয় ফল প্রচুর আছে। আমাদের তরমুজ, আমড়া কত কিছু আছে। আমাদের নিজেদের তো আছে। সবাইকে বলব এই বিষয়ের প্রতি সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন-  কলাপাড়ায় কৃষক লীগের পরিচিতি সভা

    তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এ জন্য প্রত্যেক ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর বিষয়ে সুরক্ষা নিতে হবে। নিজের ঘরে যেন ডেঙ্গু উৎপন্ন না হয়। মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।’

    বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাস মালিকেরা যদি বাস না চালায় তাহলে আমরা কী করতে পারি?’

    ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ‘অগ্নি সন্ত্রাসের’ প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এই যাদের অবস্থা তাদের কী জনগণ ভোট দেবে? খালেদা জিয়া কেন জেলে? তিনি তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। অর্থ পাচারে তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। জানি না বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দেয়, আমার কিছু বলার নেই।’

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। আমদানি পণ্য বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, সার, বীজ ও তেল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়ছে, পণ্য পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। প্রতিনিয়ত ডলারের দাম বেড়েছে। এতে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ বা যারা জ্বালানি তেল, গ্যাস, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে হয়, তাদের সকলেই সংকটে পড়েছে। তারপরও আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

    বাজেট দিয়ে সরকার দেশকে ভালোভাবে চালাচ্ছিল উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংকটের মধ্যে দেশের রিজার্ভ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তার কিছু উত্তর দেব।’

    বাজেটে সরকার ভর্তুকি ধরে রেখেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, পরিবহন খরচ বাড়ায় ভর্তুকির চাহিদা বেড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার কোটি টাকা। আজকে সেখানে অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি আমরা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দিতে চাই তাহলে, এই ভর্তুকি দিতে হবে। জ্বালানি তেলে অতিরিক্ত ভর্তুকি লাগছে ১৯ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। খাদ্য আমদানিতে লাগছে ৪ হাজার কোটি টাকা। টিসিবিসহ জনবান্ধব কর্মসূচিতে অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে ৯ হাজার কোটি টাকা। ১ কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছি। স্বল্পমূল্যে তাদের খাদ্য দিচ্ছি। মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেই জন্য দিচ্ছি। কৃষি খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি লাগছে ৪০ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা শুধু ভর্তুকি চাহিদা বেড়েছে।’

    আরও পড়ুন-  কুড়িগ্রামে শীতকালীন সবজি চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

    গ্যাসে প্রতি ঘন মিটারে ১০ টাকা ৬০ পয়সা করে ভোক্তা পর্যায়ে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, শিল্প কারখানার এলএনজির গ্যাসের প্রতি ঘনমিটারে ৪৮ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারের ভর্তুকির তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।

    গত এক বছরে বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। চাল, গম ও আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করে। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যয় ৪০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

    জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (জুলাই-অক্টোবর) আয় হয়েছে ১৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে থেকে ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে ২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কম।

    খাদ্য দ্রব্য রিজার্ভ থাকার পরেও বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমদানি করেছে সরকার। রাশিয়া বাধা সরিয়ে নেওয়ায় ইউক্রেন থেকে গম ও তেল আসা শুরু হয়েছে। দেশে আমন আউশ ধান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon বিজ্ঞাপন

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…