লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় অর্ধ-কোটি টাকার পুরনো সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। গত ৭ দিন আগে নিন্মমানের কাজ করায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সহকারি প্রকৌশলীর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। কিন্তু আবার তা শুরু করেছেন ঠিকাদার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিডিউলের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মতো সড়কে নিম্নমানের কাজ করছে ঠিকাদার। কাজের শুরু থেকেই তদারকি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে এসব অনিয়ম করে চলছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সড়কের কাজে বাধা দেন। তারপর এলাকাবাসী রায়পুর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে মৌখিকভাবে জানিয়েও ফল পায়নি। এরপরও খারাপ ইট দিয়ে রাস্তার কাজ শেষ করার প্রস্তুতি চলছে। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান ও সহকারি প্রকৌশলীকে দিয়ে রাস্তার কাজ ৭দিন বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু ঠিকাদার গত দু’দিন ধরে আবার কাজ করছেন। তারা বলছেন, এত খারাপ রাস্তা করার কি দরকার?
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগষ্টের প্রথম সপ্তাহের দিকে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে রায়পুরের হায়দরগঞ্জ বাজারের তৃষা স্টুডিও থেকে বেরিবাঁধ সড়কের উপর রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত পাশে চওড়া ৬ ফিট এবং লম্বায় ৭৫০ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার নির্মাণ করা হয়েছে। অন্য দিকে শ্রমিকেরা বলছেন, ঠিকাদার যেরকম ইট বালু দিচ্ছে, তা দিয়েই তাদের রাস্তা নির্মাণ করতে হচ্ছে। একাধিক শ্রমিক নিম্নমানের ইট ও ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকারো করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ বাপ্পি নিম্নমানের ইট বালু ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তায় ভালো মানের ইট বালুই ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যাদের কাছ থেকে এগুলো নেয়া হচ্ছে, তারা ভুলবশত মাঝেমধ্যে এক নম্বর ইটের মধ্যে কিছু খারাপ ইট দিয়েছে।
এলজিইডি রায়পুর উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী তাজল ইসলাম বলেন, সড়কে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে গত ৭ দিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিলো। বর্তমানে কাজ চলার বিষয়ে ঠিকাদার জানায়নি। আগামীকাল রোববার সকালে নতুন যোগদানকৃত প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।