কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোন সংলাপে বসা হবে না, তাদের নেতৃত্বে কোন নির্বাচন ও হবে না এদেশে। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। তারা নিশীরাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে আছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশব্যাপী বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। আওয়ামী লীগ গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা খুনখারাপি করে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের ফাঁসাচ্ছে।
শনিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবন প্রাঙ্গণে জেলা যুবদলের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এ্যানি লক্ষ্মীপুর সদর পূর্ব অঞ্চলে সম্প্রতি যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যা কান্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিনকে হত্যা করে এখন আমাদের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদসহ ৪নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করছে। এ মিথ্যা ও সাজানো মামলার প্রতিবাদ জানায়। এ্যানি আরও বলেন, বশিকপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম জিহাদকে গ্রেফতার করলে এ হত্যা কান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটন করা হবে।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুল আলীম হুমায়ুনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান লিটন, নিজাম উদ্দিন প্রফেসর, সাইফুল ইসলাম শাহীন, কৃষকদল নেতা আমির হোসেন চাষি, যুবদল নেতা সৈয়দ রশীদুল হাসান লিংকন, সৌরভ হোসেন ভুলু, জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদসহ প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন তার নিজ দল আওয়ামী লীগের কোন্দলে জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ মামলাকে প্রতিহিংসা মূলক আমাদের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এ.কে.এম ফরিদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবদুল গণি ও যুবদল নেতা আক্তার হোসেন, মো. পারভেজের নাম উল্লেখ করে তারা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা এ মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রমঙ্গত, গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতের সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার দীঘির পাড় কালবাটের গোড়ায় যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায় দূর্বুত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এঘটনায় গতকাল শনিবার (০১ অক্টোবর) রাতে নিহতের ছেলে আকাশ বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পিচ্চি নিশান নামে একজনকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।