রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে তুরাগ এক্সপ্রেস নামে থেমে থাকা একটি ট্রেনে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনায় কমলাপুর রেলস্টেশনের পাঁচ ক্লিনারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাকৃত হলেন, সুমন (২১), নাইম (২৫), নাজমুল(২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালু (২২)। এছাড়াও ইমরান নামের একজন পলাতক রয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে আনা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি ট্রেনে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে ওই কিশোরী পুলিশকে জানালে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ মাহমুদ জানান, ভোক্তভোগী কিশোরী জানান তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। পেশায় তেমন কিছুই করেন না তিনি। বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা করে রাতে ঢাকার কমলাপুর আসেন। সেখানে ৪/৫ নম্বর প্লাটফর্মে বসে থাকা অবস্থায় পানি বিক্রেতা ইমরান নামে এক যুবকের সাথে তার কথা হয়। সে ওই কিশোরীকে এটাসেটা বলে প্লাটফর্মের একটি ব্রেঞ্চে শুয়ে থাকতে বলে এবং তাকে কেউ কিছু বললে ইমরানের পরিচয় জানাতে বলে। রাত গভির হয়ে এলে ওই কিশোরীকে ১ নম্বর প্লাটফর্মে তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে শুয়ে থাকতে বলে একপাশের দরজা আটকে দেয় ইমরান। এরপর ওপর পাশের একটি দরজা দিয়ে বগির ভিতরে প্রবেশ করে ইমরান সহ তার আরও ৫ সঙ্গী মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
রিয়াজ মাহমুদ জানান, এমন সময় রাত ১টার দিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করতে দেখে ইমরান ও তার সঙ্গীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। সে সময় নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হলে তিনি বগির ভিতর উকি দিয়ে দেখেন, রেলের বগির ভিতর পড়ে আছেন ওই কিশোরী। পরে সেই নিরাপত্তাকর্মী থানায় খবর দিলে এরপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রাতেই ওই কিশোরীর সনাক্তের মাধ্যমে স্টেশন এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ইমরান নামে অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক রয়েছে।