দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডের দাবিতে আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অবস্থান কর্মসূচিসহ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চত্বরে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক আব্দুল আলিম, সৈয়দ আপেল মাহমুদ দিপু, আবু তালেব, দীপঙ্কর বর্মন, আনিছুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ফজলে রাব্বী, তমিজুল ইসলাম রকেট, মিলন সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
শেষে শিক্ষকরা তাদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডের দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভূঁইয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন- ফরিদপুরে যুবলীগের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
শিক্ষক আব্দুল আলিম ও শিক্ষক তমিজুল ইসলাম রকেট বলেন, প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমান হলেও শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বেতন স্কেল দশম গ্রেড পাচ্ছেন না। নতুন নিয়োগ পাওয়া একজন শিক্ষক যে পরিমাণ বেতন পান, তা দিয়ে পরিবারের মাসের খরচ মেটাতে গিয়ে ঋণ দেনায় জরজরিত হয়ে হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। শুধুমাত্র আর্থিক কারণে মেধাবীরা প্রাথমিকের শিক্ষকতায় আসছেন না। শিক্ষিত জাতি গঠনে ভবিষ্যত প্রজন্মকে মেধাবী শিক্ষকের একান্ত প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষকতা পেশায় বেতন স্কেল অবশ্যই বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন বলে শিক্ষকরা মনে করেন।
১৯৭৭ সালে সামরিক শাসনামলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৩২৫ টাকা ও সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে সর্বপ্রথম প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষ্যমের ব্যবধান রচনা করা হয়। ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষকদের বেতন স্কেল জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে প্রদানের নির্দেশনা দানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকদের দেওয়া স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানো হবে।