পাঁচ দফা দাবিতে দিনভর ধর্মঘটের পর রাতে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার ভোর থেকে দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর রাত ১০টার দিকে ধর্মঘট স্থগিত করেন পরিবহন শ্রমিকরা।এদিকে, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে কার্যতঃ অচল হয়ে পড়ে সিলেট।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় লাঠি হাতে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি চলাচলে বাধা দেন। দিনভর সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় তারা এভাবেই ‘পিকেটিং’ করেন। এতে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন পড়েন বিপাকে। বাড়তি টাকা গুনে মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে গন্তব্যে পৌঁছেন যাত্রীরা।
ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
আরও পড়ুন- মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার-বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া।