ফোর্বস মুহাম্মদ আজিজ খানের যে সম্পদের হিসাব দিয়েছে, সেটি শুধু বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব। এর বাইরে সামিটের অন্যান্য খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব সেখানে যুক্ত হয়নি।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী ৪২ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খান। এতে বলা হয়, আজিজ খানের মোট সম্পদ রয়েছে ১০০ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়া, দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে হিলিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ফোর্বসের হিসাবে এবারই প্রথম আজিজ খান সিঙ্গাপুরের বিলিয়নিয়র ব্যক্তিদের ক্লাবে ঢুকলেন। গত বছর তথা ২০২১ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালের পর থেকে তার সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। তাতেই তিনি এ বছর বিলিয়ন ডলারের ধনীর ক্লাবে স্থান করে নিয়েছেন।
ফোর্বসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় আজিজ খানের বিস্তারিততে বলা হয়, জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন। ফলে ২০১৯ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ কমে নেমে আসে ৮৫ কোটি ডলারে। এর পর থেকে আবার তাঁর সম্পদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী ৬৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ আজিজ খান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় প্রথম স্থান পান ২০১৮ সালে। ওই বছর তিনি এ তালিকায় ৩৪ নম্বরে ছিলেন। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি মার্কিন ডলার।
জানা যায়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস, অবকাঠামো খাতের ব্যবসা আছে সামিট গ্রুপের। সামিটের অধীন এ দেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর মালিকানায় বা হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। আর সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। এ কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও যেহেতু সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত, তাই এটির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।
সামিটের যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসায় এসে ভালো করে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় তাদের দ্রুত অগ্রগতি হয়। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়।