‘লক্ষ্মীপুরে ২’শ ফুটে ১১ জুয়ার আসর, চুপচাপ প্রশাসন’ এই শিরোনামে শীর্ষ সংবাদে খবর প্রকাশের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে তড়িঘড়ি অভিযান চালিয়ে আটক করেছে ৪ জুয়াড়িকে। পরবর্তীতে জুয়া আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার দক্ষিণ তেবাখুলা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মো. নাছির বেপারী (৩৬), নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আজিজপুর এলাকার শহিদ উল্লার ছেলে আরমান হোসেন সুমন (৩১)। অন্য দুইজন লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বসুদুহিতা এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৬) ও চর মনসা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম ভুইয়ার ছেলে বেলাল হোসেন স্বপন (৫৫)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হযরত দেওয়ান শাহ বার্ষিক ওরস মাহফিল উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ১১ টি জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় জেলা ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে জুয়ার আসর থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় নগদ ২ হাজার ৭৫০ টাকা ও জুয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল। তবে অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্যে জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় অপরাধ করায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের এসআই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) তারেক বিন রশিদ বলেন, আমরা কখনোই অন্যায়কে সমর্থন করিনা। আর মেলা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। সেখানে কেউ জুয়ার আসর বসিয়ে ও অশ্লীল নৃত্যের মাধ্যমে মেলার পরিবেশ নষ্ট করবে। এটি কখনো আমরা হতে দিবো না। এখন থেকে মেলার শেষ পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে দেওয়ান শাহ মেলা পরিদর্শন ও দর্শনার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করে শীর্ষ সংবাদ। ওই খবরের সূত্র ধরেই তাৎক্ষণিক মেলায় অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরআগে ১৮ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৫ দিনব্যাপী মেলা পরিচালনা করার অনুমতি নিয়েছিলো দরবার কর্তৃপক্ষ।