ঠাকুরগাঁওয়ে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ দাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের সাগর দাসের স্ত্রী দীপ্তি দাস (৪০), তার মেয়ে পূজা দাস (১১) এবং সাগর দাসের ভাই উমাকান্ত দাসের ছেলে পলক দাস (১২)। আহতরা হলেন— সাগর ও নিখিল। তারা সবাই তাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন— রায় শুনতে শ্রম আদালতে ড. ইউনূস
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের রাইস মিলের শ্রমিকেরা ধান সিদ্ধ করার জন্য বয়লারের স্টিম তোলেন। শ্রমিকেরা বয়লার বন্ধ রেখে অন্য কাজে গেলে অতিরিক্ত চাপে বিস্ফোরিত হয়ে বয়লার দাসপাড়ায় গিয়ে পড়ে।
এ সময় বাড়ির বাইরে থাকা দীপ্তিদের ওপর গিয়ে পড়লে তাদের দেহগুলো খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে রাইস মিলের মালিক সাইদুর রহমান ও শ্রমিকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন— শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ ইসির
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও–বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়ক সংলগ্ন দাসপাড়া এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান রাইস মিলটি চালু করেন। মিল চালুর আগে স্থানীয়রা এতে বাধা দিয়েছিলেন কিন্ত কেউ কোনো কথা শুনেনি।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, শিশুদের নিয়ে বাসার বাহিরে রোদ পোহাচ্ছিলেন দীপ্তি। তাদের বাড়ির পাশেই ছিল হাসকিং মিল। হঠাৎ হাসকিং মিলের বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে তাদের গায়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন— নির্বাচনের পর শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, মিলটিতে ধান সেদ্ধ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে উড়ে গিয়ে পড়ে। এতে একেই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার (এসপি) উত্তম কুমার পাঠক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’