লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্কুলশিক্ষক ফজলে আকবর ফরিদের বসতবাড়ির একটি বসত ঘর ও দুটি লাকড়ির ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে বসতঘরে থাকা জমির দলিল, নীজের-সন্তানের সনদপত্র ও ঘরের মূল্যবান প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার ভোর রাতে (১১ নভেম্বর) উত্তর কেরোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধায় এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কেরোয়া সবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে আকবর ফরিদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় সাধারন ডায়রি করেছেন।
এছাড়াও গত ৬ জুন কেরোয়া ইউপি সদস্য আরিফ হোসেনের জোড়পুল স্থানে ফা্রনিচার দোকানে আগুন দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি করে। পরে মেম্বার বাদি হয়ে রায়পুর থানা ও লক্ষ্মীপুর আদালতে কেরোয়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী একাধিক মামলার আসামি টলি মামুন ও সিন্নি হাসিমকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি নোয়াখালি পিবিআই তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন— গাবতলি-গুলিস্তান-মতিঝিলে বাসে আগুন
প্রধান শিক্ষক ফজলে আকবর জানান, শুক্রবার রাতে প্রতিদিনের মত পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার ভোররাতে দুর্বৃত্বরা তার দুটি লাকড়ি ও একটি বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে সবাই আতংকিত হয়ে পড়ে। বসতঘরে থাকা তার দুটি স্টিল আলমারি, ১টি ফ্রিজ, ল্যাপটবসহ সকল দলিল ও সনদপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে বাড়ীর, গ্রামের লোকজন ও ফায়ার সা্রভিস এর কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি রায়পুর থানার পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন— রামগড়ে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহিনুর বেগম ও ইউপি মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গির জানান, দুর্বৃত্তদের অব্যাহত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় পাহাড়া বাড়াতে মেম্বার ও গ্রামপুলিশকে বলা হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, আগুন লাগিয়ে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া অপরাধীদের যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করা হবে। এঘটনায় স্কুল শিক্ষক সাধারন ডায়রি করেছেন।