ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলে এখন থমথমে পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
কিছুক্ষণবাদে পূরবী সিনেমা হলের সামনেও শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এখানেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে পিছু হটতে থাকেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন— ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজধানী, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনকালে কিছু জায়গায় ভাঙচুর এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কিছু কারখানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও আন্দোলন চলছে।
এর ধারাবাহিকতায় সকাল ৮টার দিকে পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। সেখান থেকে তারা প্রথমে একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে যান। সেখান থেকে আগের জায়গায় ফিরে এসে সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি মিছিল নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের দিকে যান।
আরও পড়ুন— ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী
পোশাক শ্রমিক সুমাইয়া আক্তার বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয় পল্লবীতে ইপিলিয়ন নিটওয়্যারস লিমিটেডের একটি কারখানার কর্মীদের আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে। অন্য কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে ইপিলিয়নের কর্মীরা যুক্ত হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে তাদের বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না। কারখানাটির আশপাশের এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুসারীরা শ্রমিকদের ভয় দেখাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ইপিলিয়নের কর্মীদের সঙ্গে তাদের প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে পোশাককর্মীদের ওপর তারা হামলা করেন।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের টিম দায়িত্বরত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।