বিএনপির নয়া পল্টনের সমাবেশে ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবেশের দুইদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এর ফলে স্টেজ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতারা স্টেজে বসে আছেন।
তবে আপাতত বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় বিএনপির সমাবেশ। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। তার আগে বেলা ১১টা থেকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহাসমাবেশ মঞ্চে চলে গান-বাজনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন— আওয়ামী লীগের সমাবেশে জনস্রোত
নয়াপল্টনে সড়কের ওপরে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। এরই মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি মহাসচিব মঞ্চে উপস্থিত রয়েছে।
এরআগে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ স্থলে জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা ১১ টার আগেই নয়াপল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, বিজয় নগর ও ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীতে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ছিলো -ব্যানার-ফেস্টুন ও জাতীয় এবং দলীয় পতাকা। মাথায় ছিলো নীল-হলুদ-লাল রঙের ক্যাপ।