চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করত। সাম্প্রতিক সময়ে সে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা। তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন- ২ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলীতে উলিপুরে মিষ্টি বিতরণ
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে এবং মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ শনিবার বেলা ১১ টার সময় এক মহিলা মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি তারা কোনো বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে কি না? বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো।