লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নটি অবহেলিত মেঘনা উপকূলীয় চরাঞ্চল। এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার মোল্লারহাট এলাকা। তার পাশেই দুইশ গজ দূরেই মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী। তার ওপারে বিশাল চরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র পানিরঘাট নামক কাঁচা রাস্তাটির কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার চার মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত করা হয়নি তা।
এছাড়া প্রায় আধা কিলোমিটার এ রাস্তাটি সংস্কার ও কালভাটটি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চরের কৃষক, জেলে, দিনমজুর ও শিশু শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারও মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া এরাস্তায় চারটি বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরকাছিয়া গ্রামে চার মাস আগে ধানবোঝাই ট্রাক্টর চলাচলের সময় কালভার্ট ভেঙে যায়। এরপর থেকে চলাচলে হাজারও মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে অন্ধকার রাতে ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রতি হাটের দিন চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, সাইকেলসহ অন্যান্য উপকরণ আনা-নেয়ার সময় বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বাদ পড়া ভোটারদের জন্য বিশেষ সুযোগ
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার চরে বসবাস করা প্রায় দশ হাজার মানুষ ও তাদের সন্তানরা আধা কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে মোল্লারহাট বাজারে ও স্কুল এবং রায়পুর শহরে আসাযাওয়া করেন।
রাস্তা ও কালভার্টের ওপর দিয়ে চলাচলকারী কৃষক আবদুল আলী বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তাটি দিয়ে চরের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। ধান ও সয়াবিনসহ বিভিন্ন ফসল যানবাহনের সময় চলাচলের কারণে দিন দিন কালভার্ট ভেঙে যায়। ফলে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’
দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি বলেন, ‘ভাঙা কালভার্ট ও কাঁচা রাস্তার কারণে চরের মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ভাঙা কালভার্টের মেরামত ও রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন সামনে এডিপির (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) অর্থায়নে রাস্তা ও কালভার্টের কাজ করে দেবেন।’
রায়পুর উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী সুমন মুন্সি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমাদের লোক গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছে। ভাঙা কালভার্ট মেরামত ও রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কালভার্টের মেরামত ও রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে।’