বিএনপির সরকার সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে ড. ইউনূস ইস্যু সামনে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার। ড. ইউনূসের ব্যাপারটা আমরা এভাবে দেখি, এখানে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ব্যাপার রয়েছে। এই মুহূর্তে এটাকে এত দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; ইটস আ ডাইভার্সান অব দ্য মেইন ইস্যু। আমাদের প্রধান যে ইস্যুটা, সরকার পরিবর্তন করতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। সেটা ডাইভার্ট করার জন্য এটাকে সামনে নিয়ে এসেছে।’
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানী দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে তিনি (ড. ইউনূস) প্রাধান্য পাচ্ছেন। অর্থাৎ তাদের যে লক্ষ্য ছিল যে, এটাকে ডাইভার্ট করবে, কিছুটা হলেও তারা সেটা পেরেছে। সেই কারণে আমি মনে করি, ড. ইউনূসের ইস্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়। অধিকারের কর্মী আদিলুর রহমান, আগামীতে তার রায় হবে। আমি জানি না রায় কী আসবে, এটা বুঝতে পারি- তারা যেন সত্য কথা বলতে না পারে, তারা যেন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে না পারে, সেই জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন- সালমানহীন বিষণ্ণ সাতাশ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত।’
আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মেয়ররা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। আসলে তাদের লক্ষ্যই থাকে কীভাবে দুর্নীতি করা যায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ইতোমধ্যে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অথচ, কলকাতায় এতো ঘনবসতি হওয়ার পরও তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং বিএনপি নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।