লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কোন প্রমান ছাড়াই এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক গ্রামপুলিশকে মারধর, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের ভাতা বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গ্রামপুলিশ তার অবিচারের প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও এক নারীকে আসামী করে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনাটি তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ আগষ্ট দুপুরে রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
অভিযোগকারি হলেন- একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউডুগি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে গ্রামপুলিশ মোঃ মাসুদ মিয়া (৩৮)।
অভিযুক্তরা হলেন- উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি জাফর উল্লাহ দুলাল হাওলাদার (৬০) ও ঝাউডুগী গ্রামের আনু মিয়ার বিবাহিত মেয়ে জেসমিন আক্তার (৩৫)।
পুলিশ সুপারের কাছে গ্রামপুলিশ মাসুদের লিখিত অভিযোগে জানাযায়, তিনি তিন সন্তানের জনক। তার ঘরে স্ত্রী ও মা রয়েছেন। গত ১৩ বছর সুনামের সাথে ঝাউডুগী গ্রামে গ্রামপুলিশের দায়িতৃব পালন করছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা জেসমিন বেগম এক দেহ ব্যাবসায়ী। ওই নারীর অনেক অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করে আসছেন মাসুদ। ২১ আগষ্ট দুপুরে হঠাৎ চেয়ারমসান মাসুদকে পরিষদে ডেকে নেয়।
আরও পড়ুন- ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবেঃ ওবায়দুল কাদের
তখন চেয়ারম্যান দেহব্যাবসায়ী জেসমিনের মৌখিক অভিযোগ বিশ্বাস করে অশ্রাব্যভাষায় গালমন্দ করে দফাদার দেলোয়ারকে দিয়ে পোষাক খুলে মারধর করায়। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ও এক মাসের ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এতে প্রতিবাদ করে ক্ষোভে ও লজ্জায় বের হয়ে বাড়ী চলে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ৩১ আগষ্ট গ্রামপুলিশ মাসুদ প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যান ও দেহব্যাবসায়ী নারী জেসমিনকে আসামী করে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ঘটনায় উল্টো জেসমিন ঘরবাড়ী ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ এনে আবাও হয়রানী করছে।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ দুলাল হাওলাদার বলেন, গ্রামপুলিশ মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করায় তাকে দফাদারকে দিয়ে শাসন করে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
আজ শনিবার ওই নারীর ঘরবাড়ী ভাংচুর করেছে মাসুদ। এতেও ওই নারী হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে মাসুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।
তবে এ ঘটনার বক্তব্য জানতে ওই নারীর বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দফাদার দেলোয়ার মোবাইলে বলেন, ‘মহিলাকে শান্তনা দিতেই মাসুদকে অভিভাবক হিসেবে শাসন করেছেন চেয়ারম্যান।’
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’