হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাষ্টু হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামীদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সামনে এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মোঃ কিতার আলী, ফজর আলী, ইব্রাহম পাঠান, খোকন পাঠান, আহাদ পাঠান, আছিয়া খাতুন, সুমি আক্তার, ছোট্টু মিয়া পাঠান, সুজন পাঠান, নান্টু পাঠান, টুক্কু মিয়া পাঠান সহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, নিহত রাষ্টু মিয়া পাঠান প্রতিবন্ধি হলেও বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য করে কিছু সম্পদ সঞ্চয় করে। রাষ্টু পাঠান প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে তার পিতা গুনি মিয়া পাঠান, নিহত রাষ্টুর ভাই উজ্জ্বল পাঠান, হৃদয় পাঠান, আফজল পাঠান, ছুরুক পাঠান, এমরান পাঠান, বাদল পাঠান, কাজল পাঠান মিলে তার সঞ্চিত সম্পদ ও পিতার প্রাপ্য অংশ আত্মসাৎ করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। অপর দিকে উজ্জ্বল পাঠান ও তার ভাইয়েরা এলাকার কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারি। তারা প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে খুুনের মামলাসহ অসংখ্য মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন- গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের উদ্বোধন
এছাড়াও তাদের বাড়ী পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাধবপুর গ্রামের মাধবপুর-শাহপুর রাস্তার পাশে হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয় নিয়ে রাষ্টু হত্যার কিছু দিন আগে এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে একটি মিটিং করেন। এতে তারা আরও বেশী উশৃংখল হয়ে পড়ে।
২০২০ সালে ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক গ্রামের মানুষ তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় বসেন। সভা শেষে লোকজন তাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অর্তকিত হামলা করে। এবং এলাকাবাসীকে ফাঁসাতে কৌশলে তাদের প্রতিবন্ধী ভাই রাষ্টু মিয়া পাঠানকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ সময় রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী স্বামীকে বাচাঁনোর চেষ্টা করলে তারা রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানদের মেরে ফেলার হুমক্কি দিয়ে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। এবং চিৎকার করতে নিষেধ করে।
পরবর্তীতে প্রতিবাদকারীদের উচিৎ শিক্ষা দেয়ার জন্য উজ্জ্বল পাঠান বাদী হয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের আসামী করে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করে।
অপর দিকে স্বামী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী রাষ্টু মিয়ার স্ত্রী মারুফা খাতুন বাদী হয়ে দেবর উজ্জ্বল পাঠান, বাদল পাঠান গংদের আসামী করে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মারুফা স্বামী হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান, এবং উজ্জ্বল পাঠানের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে নিরীহ গ্রামবাসী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।