সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া উন্মুক্ত মাঠ-ঘাট (প্লাবন ভূমি) থেকে বাদাই জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে পোনা মাছ। এসব মাছ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে ও গ্রামগঞ্জে ফেরি করে বিক্রয় করছে।
এখন বর্ষাকালের শ্রাবণ মাস চলছে। এবার বন্যার পানি দেরীতে এসেছে। গত সাত দিনে চলনবিল অঞ্চলের মাঠগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চল উধুনিয়া ও বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মাঠ-ঘাট গুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া মাঠ ও জলাশয় থেকে বাদাই জাল অথবা অন্য কোনো জালে সব ধরণের পোনা মাছ সহ ছোটো কোনো মাছ ধরা ও বিক্রি করা নিষেধ রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় বাদাই জালে অবাধে পোনা সহ সব ধরণের মাছ ধরা হচ্ছে।
জানা যায় রাতের শেষ ভাগে বাদাই জালে ধরা মাছ শহরের হাট-বাজারে এবং সকালে ও দুপুরের দিকে ধরা মাছ বিকেলে গ্রামীণ এলাকার হাট বাজার ও গ্রামগঞ্জে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৮ সে.মি. নিচে
রবিবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উধুনিয়া ইউনিয়নের খাদুলী ও উধুনিয়া মাঠে বন্যার পানিতে বড় বড় নৌকা নিয়ে বাদাই জাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছ ধরা শেষে বাদাই জাল নৌকায় তুলে অন্য এলাকায় নিয়ে নিরাপদে রাখছে। সুযোগ বুঝে আবার মাছ ধরতে বের হচ্ছে।
রবিবার বিকেলে উধুনিয়া বাজারে বিকেলে পোনা মাছ বিক্রি করার সময় এক বিক্রেতা বলেন বাদাই জাল টেনে এ মাছ ধরেছেন। তিনি জানেন এ মাছ ধরা অবৈধ। বর্ষাকালে কাজ নেই তাই এ মাছ ধরা ও এলাকার বাজারে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি মাঠে নেমে দেখা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে বাদাই জালে পোনা মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধে কঠোর ভূমিকা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাঠে নামা হবে।