সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প (টিআর) এর বিভিন্ন ইউনিয়নের ৭ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করায় প্রায় এক যুগ পর সরকারি বরাদ্দের দ্বিগুণ টাকা আদায় করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঐ প্রকল্পের সভাপতিদের কাছ থেকে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯ টাকা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প (টিআর) এর মধ্যেমে ৭ টি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পের সভাপতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে।
এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রকল্প তদন্ত করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের তদন্তে এর সত্যতা মেলায় প্রকল্পের সভাপতিদের কাছ থেকে বরাদ্দের দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন আজরা জেয়া-ডোনাল্ড লু
উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের মোড়দহ গ্রামের আঃ লতিফের কাছ থেকে বরাদ্দের দ্বিগুণ ৬৫ হাজার ২৯১ টাকা, সাতবারিয়ার আবু হানিফের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৫ টাকা, উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের বাখুয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে ৮৭ হাজার ৫৩ টাকা, বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের শুকুলহাটের মজিবর রহমানের কাছ থেকে ৫৬ হাজার ৫ টাকা, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামের ইমদাদুল হকের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজা ৫৭৭ টাকা, সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৮৭ হাজার ৫৩ টাকা ও সলঙ্গা ইউনিয়নের বড় চৌবিলা গ্রামের ছাকোয়াত হোসনের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজা ৫ টাকা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার বাঙ্গালার ২টি ও দক্ষিণ পুস্তিগাছার একটি প্রকল্পে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বাস্তবায়ন না করার বিষয় তদন্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প (টিআর) এর আওতায় ৭ টি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে নগত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিগণ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে টাকা আত্মসাৎ করে।’
ইউএনও আরও জানান, প্রকল্পগুলো তদন্ত করে সতত্যা পাওয়ায় সভাপতিদের কাছ থেকে দ্বিগুন টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।