খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড় শ্মশান টিলা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে (৮৫) নামে এক বায়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ অভিযুক্ত ডাঃ রাজেন্দ্র ত্রিপুরা (৫৬)।
ভূক্তভোগী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬.৪০মিনিটে আমার ছেলের ক্রয়কৃত জমিতে কাজ করার সময় অভিযুক্ত ডাঃ রাজেন্দ্র ত্রিপুরা হঠাৎ করে এসে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগালি করতে থাকে এবং জমিতে ঘেরাও দেওয়া তাঁর কাঁটার বেঁড়া তুলে ফেলে দেন, তখন আমি ওনাকে তাঁরকাটার বেড়া তুলে না ফেলার জন্য বলে আমার ছেলের কাছে ফোন দিতে গেলে ডাঃ রাজেন্দ্র পিছন থেকে আমাকে কিল-ঘুষি ও চড় লাথি মারা শুরু করে। এসময় আশপাশের মানুষজন তাঁর কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন- মাধবপুরে গাড়ী দূর্ঘটনায় প্রান গেল তরুণের
গৌরাঙ্গের ছেলে সহদেব চন্দ্র দে জানান, আমি বিগত ২০২২ সালে ২৩৫ নং নাকাপা মৌজার ১০৪৩ নং খতিয়ানের ০.১০ শতক জায়গা বিবাদীর বোন ও এজাহারে অভিযুক্ত ২নং বিবাদী নিরুপমা ত্রিপুরা (৬১) থেকে ক্রয় করে আমি ও আমার ভাইয়ের নামে জায়গাটি রেজিষ্ট্রেশন করে নিয়েছি। উক্ত জায়গা ক্রয় করার পর আমি বিভিন্ন ফলজ গাছ রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছি।
গতকাল (০২ জুলাই) রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমার বাবা ঐ ক্রয়কৃত জায়গার মধ্যে কাজ করতে গেলে বিবাদী আমার বাবাকে বাধা প্রদান করে। এবং জায়গাটি ১নং বিবাদী ডাঃ রাজেন্দ্র ত্রিপুরা তার বলে দাবি করেন ও জায়গাতে থাকা তার কাটার বেড়া তুলে ফেলে দিতে থাকেন। তখন আমার বাবা তাঁকে তার কাটার বেড়া তুলতে নিষেধ করে আমাকে কল দিতে গেলে পিছন থেকে রাজেন্দ্র এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি লাথি মেরে আমার বাবাকে মারাত্মক ভাবে জখম করে আহত করে। আমি সংবাদ পেয়ে কাগজপত্র নিয়ে বিবাদীদেরকে প্রদর্শন করলে বিবাদীরা জানান তারা কোনো কাগজপত্র মানে না এবং আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
বায়োজৈষ্ঠ বাবাকে মারধরের ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আজ সকালে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে রামগড় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডাঃ রাজেন্দ্র ত্রিপুরার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোনো সদূত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা রামগড় থানা এস আই ফরহাদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।