সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। এ সময়ে দুই সিটিতে বড় কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রতীকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কোথাও কোথাও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। দুই সিটির ভোট গ্রহণ শেষ চলছে গণনা।
ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন নগর পিতা। দুই সিটিতেই এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়েছে। আজ ভোট গ্রহণের জন্য সিলেট ও রাজশাহী দুই নগরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। তবে সময়ের পরেও যারা কেন্দ্রে ছিলেন তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- জনপ্রশাসনে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৪ পদ শূন্যঃ প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহীতে দুই হাজার ৫০০টি ও সিলেট সিটিতে তিন হাজার ২০৪টি ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এক হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটিতে এবং এক হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটির ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন।
রাজশাহী সিটি ভোটঃ
রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।
মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মুরশিদ আলম, জাতীয় পার্টির মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং জাকের পার্টির মোঃ লতিফ আনোয়ার।
ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৩০টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ১৬টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৫৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।
সিলেট সিটি ভোটঃ
সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রে এক হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন।
এ সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মোঃ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মোঃ জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মোঃ ছালাহ উদ্দিন রিমন, মোঃ আব্দুল হানিফ, মোঃ শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রামগড়ে বাঙালীদের ভূমিতে ঘর নির্মাণ ও বে-দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৪২টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ২২টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৪২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।
এদিকে দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটের দিন সীমিত থাকবে যন্ত্রচালিত যান চলাচল। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সব ধরনের মিছিলের ওপরও।