বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। এঘটনায় তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে ৩০ থেকে ৪০ জন নৌকা সমর্থক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থী।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েক শ নেতা-কর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন- আজ ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’
এ ছাড়া দলটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, জোরপূর্বক ভোট।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী (হাতপাখা প্রতীক) সৈয়দ ফয়জুল করিমের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনারের কাছে অভিযোগগুলো জানানো হয়েছে।
আজ সকাল ৮টায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পর থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থীর মিডিয়া সেল সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে থাকে।
ফয়জুল করীম জানান, ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে ৩০ থেকে ৪০ জন নৌকা সমর্থক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা লাঠিসোঁটা ও পাথর ব্যবহার করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন- পশ্চিমারা ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি আটকাতে পারবে নাঃ খামেনি
ফয়জুল করীম দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাতে তাঁর দাঁত দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে।
এদিকে, ঘটনার পর ওই এলাকায় কিছুক্ষণ উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে বলে জানান পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, কাজটি যারা করেছেন তারা খুবই খারাপ কাজ করেছেন। তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।