ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, তেহরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে পশ্চিমারা চাইলেও ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে আটকাতে পারবে না।
রবিবার (১১ জুন) খামেনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন কিনা দেশটির পারমাণবিক কার্যকলাপ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। –রয়টার্স
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ‘তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে কথাবার্তা মিথ্যা এবং তারা (পশ্চিম) এটা জানে। আমরা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র চাই না। অন্যথায় তারা এটি বন্ধ করতে পারত না।’
কয়েক বছর ধরে ইরানের সরকারি অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে খামেনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র কখনোই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়নি। তেহরানের পারমাণবিক কাজের বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব, যদি দেশের পারমাণবিক অবকাঠামো অক্ষত থাকে।
আরও পড়ুন- বীরের জাতি কারও কাছে মাথা নত করে নাঃ প্রধানমন্ত্রী
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, চুক্তিতে (পশ্চিমের সঙ্গে) কোনো ভুল নেই, তবে আমাদের পারমাণবিক শিল্পের অবকাঠামোকে স্পর্শ করা উচিত হবে না। সুরক্ষা কাঠামোর অধীনে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সঙ্গে তেহরানের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে সরে আসে। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, পরিকল্পনাটি অকার্যকর। চুক্তি বাতিলের পর ইরান একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরুর হুমকি দিয়েছে। গত মার্চে জার্মানি হুমকি দিয়ে বলেছে, ইরানকে কখনই পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে দেওয়া যাবে না।
এদিকে ছয়টি বড় শক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সেপ্টেম্বর থেকে অচলাবস্থায় রয়েছে। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দাবি করার অভিযোগ এনেছে।