বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশে প্রায় সব ধরনের ফসল উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন ফসলের মধ্যে অন্যতম হল ধান। দেশে চাহিদর বেশিরভাগ ধান উৎপন্ন হয় হাওর বেষ্টিত এলাকায়। কৃষকের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে উৎপাদিত হয় এই ফসল। কিন্তু প্রায় সময় খরা, আগাম বন্যা ও শিলা বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদেরকে সয় সম্বল হারিয়ে পথে বসতে হয়।
তাই এ বছর নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় হাওর অঞ্চলের নিচু এলাকাগুলোর সকল প্রকার পাকা ধান ২৫ শে এপ্রিলের মধ্যে কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের ২৩ তারিখ থেকে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় ১০ দিন বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে নির্দেশ দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের হাওর এলাকায় পাহাড়ি ঢল নামার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ থেকে মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ২ টি শক্তিশালি পশ্চিমা লঘু চাপ বাংলাদেশ ও ভারতের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। যার কারণে শক্তিশালি কালবৈশাখি ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাকা ধান ধ্রুত কর্তনের অনুরোধ জানিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে জমিতে আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের ধান হিসেবে ২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান- ২৮ জাতের ধানের আবাদ করা। তবে আবাদ হওয়া ব্রি ধান- ২৮ জাতের ধানে নেট ব্লাষ্টার ( ছত্রাক নাশক)রোগের আক্রমণের কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে । তবে সঠিক সময়ে কীটনাশক ব্যবহার করায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন- আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেইঃ প্রধানমন্ত্রী
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি প্রচার করতে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা অথবা ফেসবুকে বেশি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাছাড়া যেকোন প্রয়োজনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিস এ যোগাযোগ করার জন্যও অনুরোধ করছি।