লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে বালু মহালের পাইপ স্থাপন করছেন যুবলীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী। এরই মধ্যে তিনি বেড়িবাঁধটি কেটে ফেলেছেন। তবে বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে পাইপ স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখেন শ্রমিকেরা। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি পাকা কার্পেটিং করা বেড়িবাঁধ কেটে ফেলায় বাঁধের সড়কটি বিনষ্ট হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে রাত ১১ টার দিকে পুনরায় বেড়িবাঁধ কাটতে দেখা গেছে।
অভিযুক্ত তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী সদর উপজেলা (পশ্চিম) যুবলীগের আহ্বায়ক এবং শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সরকারি বেড়িবাঁধ কেটে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন টিটু চৌধুরী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত বলে জানান। তিনি বলেন, তার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন পিটু চৌধুরী বালু মহালের জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করছেন। তবে বাঁধ কাটছেন কিনা, সেটি তিনি জানেন না।
অন্যদিকে বাঁধ কাটার বিষয়ে পিটু চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ভাই টিটু চৌধুরীর কাছে যেতে বলেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, যুবলীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন টিটু ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন পিটু চৌধুরী মজুচৌধুরীর হাটে বালুর ব্যবসা করেন। তিনি মজুচৌধুরীর হাটের সাইফিয়া দরবার শরীফের পাশে নতুন আরেকটি বালু মহাল দিচ্ছেন। মেঘনা নদীতে থাকা ভলগার্ড থেকে বালুগুলো প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে থাকা বালু মহালে ফেলার জন্য মোটা পাইপ লাইন বসান। পাইপ লাইনটি মজুচৌধুরীর হাটের উত্তর পাশে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের নীচ দিয়ে নিতে হবে। এজন্য বুধবার (৮ মার্চ) বেশ কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে তিনি বেড়িবাঁধ কাটা শুরু করেন। সন্ধ্যার দিকে বাঁধটি পুরোপুরি কেটে ফেলেন তিনি। বাঁধের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) থেকে কার্পেটিং করা হয়। বাঁধ কাটার সময় শ্রমিকরা পাকা কার্পেটিংও কেটে ফেলেন৷ এতে রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা বাঁধ কাটা বন্ধ রাখেন। তবে বাঁধটি কেটে ফেলায় সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, বেড়িবাঁধের কার্পেটিং কেউ কাটতে পারে না। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদের দাপ্তরিক মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।