চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিন দিন আগে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান।
নির্বাচন কমিশন থেকে সবশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। বিএনপি গঠিত হলে এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাকে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা পরপর তিন বার (১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১) ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ১/১১ পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল।
২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ওই বছর আবুল কালাম আজাদকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন। পরে ওই বছরের ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি নামে নতুন একটি দল গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন নাজমুল হুদা। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। গত সপ্তাহে তার গঠিত তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।