নেত্রকোণার মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীরা দিচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবা। নেই সঠিক মনিটরিং। যা আছে তা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
একজন পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী কাজ হচ্ছে, প্রতিটি গ্রাম বা মহল্লার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য মোটিভেশন দেয়া। আগ্রহী ক্লাইডদের নিয়ে সেবা কেন্দ্রে গমন ও তাদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি প্রদান এবং পরবর্তীতে তাদের পর্যবেক্ষণ করা। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।
বর্তমান সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার মাধ্যমে অন্যতম হলো পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সরকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার বৃদ্ধি হার ১২% থেকে কমিয়ে ১০% আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের উদাসীনতার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মেট্রোরেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ০৭, ০৮ ও ০৯ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন মহিলার সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মী উক্ত ওয়ার্ডগুলোতে মাসের পর মাস যাচ্ছে না, দিচ্ছে না সরকারী সেবা। কিন্তু তিনি মাস শেষে বেতন ভাতা নিচ্ছেন সময় মতো ঠিকই! নিজের কর্মস্থলে না গিয়ে মদন ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে বসেই কাগজে-কলমে তার সকল কাজ পরিচলনা করেন।
উক্ত ওয়ার্ডের মাঠকর্মী সাবরিনা সুলতানাকে মাঠে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন আমি মাসে একদিন করে তিন মাসে তিন ওয়ার্ডে তিন দিন যাই। এ বিষয়টা আমার স্যারেরা জানে। আপনি কে আমাকে জিজ্ঞেস করার? এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মাঘান ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ডেও ০৭,০৮,০৯ নং ওয়ার্ডের মতো নাজুক অবস্থা না হলেও খুব বেশি ভালো তা কিন্তু নয়, প্রায় একই চিত্র। যার ফলে বাড়ছে অধিক জনসংখ্যা, গর্ভবতী মায়েরা ভুগছেন পুষ্টিহীনতায়। সঠিক পরামর্শের অভাবে মাঝে মাঝে ঘটছে মৃত্যুর মতো ঘটনা।
সরজমিনে গেলে সুপারভাইজার মোঃ শহিদুল ইসলাম শামীমকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলার সুযোগ হয়নি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সাবরিনা সুলতানার বিষয়টি যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে তাহলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আমি যতটুকু জানি, সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম আগে কিছু অনিয়ম করতো কিন্তু এখন নিয়মিত মাঠে যান।