মেট্রোরেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করেন তিনি। আর এর মাধ্যমেই আজ থেকেই মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
এর আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল যাত্রায় চালকের আসনে লক্ষ্মীপুরের আফিজা
সুধী সমাবেশ শেষে সবুজ পতাকা নেড়ে, লাল ফিতা কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করবেন তিনি। আর সেই ট্রেনটি চালাবেন নারী চালক মরিয়ম আফিজা।
মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য দুই ধরনের টিকিট রাখা হয়েছে। একটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের এমআরটি পাস, অপরটি এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড।
ঢাকা ম্যাস র্যা পিড কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, শুরুতে কেবল মেট্রোরেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট জামানত দিলে মিলবে এমআরটি পাস। আর একবারের যাত্রার জন্য টিকিট মিলবে স্টেশনে থাকা কাউন্টার এবং পাশের স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট মেশিন’ থেকে। যাত্রা শেষে নির্ধারিত মেশিনে টিকিট কার্ডটি ফেরত দিলে তবেই স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন যাত্রীরা।
বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইতোমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশও সেই দলে যোগ দিচ্ছে।
৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়।
শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন চলাচলের জন্য খুলে দিচ্ছে সরকার। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই ট্রেন ধরেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে ৪০ মিনিট সময়ে।