দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত দুই শিশুর নাম রিমন ও ইমরান।
আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ওই দুই শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ব্রাজিল খেলল ফেভারিটের মতোই
জানা গেছ, মৃত দুই শিশু বিরল পৌরসভার শংকরপুর এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিরল উপজেলা শংকরপুর গ্রামের কৃষিজীবী রফিকুল ইসলাম ও উর্মি বেগমের দুই সন্তান ৭ বছরের ইমন এবং ৩ বছরের ইমরান। আড়াই মাস আগে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীকে ডিভোস দিয়ে ঢাকায় পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ নিয়েছেন তার স্ত্রী উর্মি বেগম। ইমন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র।
নিহত শিশুদের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ছেলে শরিফুল ইসলাম দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বিরল বাজারে যায়। রাত গভীর হলেও তারা বাড়িতে না আসায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাদের সন্ধান পাইনি।
আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, বিরলের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ঘরে দুই শিশুর মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে তাদের শনাক্ত করি। আগে থেকেই আমার ছেলে এই দুই শিশুকে মেরে ফেলে নিজেও বিষ খাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।
নিহত শিশুদের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ছেলে শরিফুল ইসলাম দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বিরল বাজারে যায়। রাত গভীর হলেও তারা বাড়িতে না আসায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাদের সন্ধান পাইনি।
আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, বিরলের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ঘরে দুই শিশুর মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে তাদের শনাক্ত করি। আগে থেকেই আমার ছেলে এই দুই শিশুকে মেরে ফেলে নিজেও বিষ খাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন- যখনই সময় পাই খেলা দেখিঃ প্রধানমন্ত্রী
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা জানান, সকালে খবর পেয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত ভবন থেকে দুই ভাই ইমন ও ইমরানের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হত্যার ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আসলাম উদ্দিন।
তিনি জানান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলামউদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু দুটির বাবা শরিফুল ইসলাম নিজেই বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ঘাতক বাবাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।