আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পরপর ঋতু বদলায়। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও বদলে যায়। যে কারণে তারা (বিরোধীরা) ভুলে যায় আমরা কী কী উন্নয়ন কাজ করেছি।’
আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দুই মাস পরপর ঋতু পরিবর্তন হয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও পরিবর্তন হয়। আপনি যদি তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারেন তাহলে আজকে যা সমর্থন পাচ্ছেন তা থাকবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিয়েছিলাম। এখন প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুহার, শিশুমৃত্যুহার বেশি ছিল। মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- যখনই সময় পাই খেলা দেখিঃ প্রধানমন্ত্রী
৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিচারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে, পাক বাহিনীকে গ্রামের পর গ্রাম নিয়ে গেছে মানুষকে হত্যার জন্য, তাদেরকেই ক্ষমতায় বসিয়েছে জেনারেল জিয়া। জাতির পিতার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি অর্ডারের মাধ্যমে বিচাররের হাত থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে।
সব বিভাগে পর্যায়ক্রমে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কথাও বলেন সরকারপ্রধান।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আওয়ামী লীগেরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।