ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে পারে রাশিয়া- এই নিয়ে পশ্চিমারা বারবার সতর্ক করে আসছে। এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সমস্ত ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
একই সঙ্গে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন। তবে সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভিন্ন কথা বললেন পুতিন।
পুতিন জানান, ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। মস্কোয় আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একটি সভায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমি মনে করি, তার প্রয়োজনও হবে না।’
এর আগে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পরমাণু হামলার মহড়া শুরু করে রুশ সেনা। সে দেশের পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’-এর সেই মহড়া পর্যবেক্ষণও করেছেন পুতিন। রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ প্রকাশিত ছবিতে টেলিভিশনের পর্দায় রুশ প্রেসিডেন্টকে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন- ভুল নামে মামলা ও প্রতিকার
বৃহস্পতিবারের আলোচনায় আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলোকে এক হাত নেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনকে ঘিরে আমেরিকাসহ পশ্চিমী দেশগুলি নোংরা এবং বিপজ্জনক খেলা খেলছে।’ নিরপেক্ষ দেশগুলিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার জন্যই বারবার পরমাণু হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে জানিয়ে পুতিনের মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা কিন্তু এক বারও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলিনি।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর আজ পর্যন্ত টানা ২৪৭ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই।