মহাসড়কে নছিমন-করিমনসহ অবৈধ যানচলাচল বন্ধ ও রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি।
আগামী শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টায় রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি ও কার-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাসহ সাধারণ মালিকদের নিয়ে এক যৌথ জরুরি সভা হয়। সভায় সবার সর্বসম্মতিক্রমে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সব রুটে বাস, মিনিবাস, ট্রাক এবং মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাস টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায় করলে চাঁদাবাজির মামলাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিভাগীয় গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় আগামী ২৯ অক্টোবর বিএনপি রংপুরে সমাবেশ ডেকেছে। তার একদিন আগেই পরিবহন ধর্মঘটের এই ঘোষণা এলো। গণসমাবেশ ঘিরে মোটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট নিয়ে চিন্তিত না। গণসমাবেশে আসার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। যে যেভাবে পারেন সমাবেশে আসবেন। গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে তা এই ধর্মঘট দিয়ে আটকানো যাবে না।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সরকারের চাপে মালিক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। মালিক সমিতি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তারা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মঘট ডাকে? এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য মালিক সমিতিকে আহ্বান জানাই। তা নাহলে ভবিষ্যতে এর দায়-দায়িত্ব তাদেরকেও বহন করতে হবে।’
এর আগে গত ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা একই দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে ২ দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে পঁচা খাবার বিক্রয় : দুই হোটেল মালিককে জরিমানা
পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে বাস ধর্মঘটের ঘটনা ঘটেছিল ১৫ অক্টোবর বিএনপির ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও।
বিএনপি একে ক্ষমতাসীন দলের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করে আসছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ বলছে, তারা রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
অন্যদিকে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, তাদের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।