খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ)’র গুইমারা শাখার সংগঠক অংথোই মারমা ওরফে আগুন (৫২) নিহত হন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে রামগড়ের দাতারাম পাড়ায় ইউপিডিএফ সমর্থিতরা খাগড়াছড়ি-ফেনী সড়ক অবরোধ করে চালককে মারধর করে একটি ট্রাকে আগুন দেয় এবং কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা। ট্রাকটিতে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানির মুরগীর খাদ্য ছিলো বলে জানা যায়। একই সময়ে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের গুইমারা উপজেলার বাইল্ল্যাছড়ির জোড়াব্রিজ এলাকায় কলাবাহী একটি ট্রাকেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এসময় সড়কে তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ সংগঠনটির গুইমারা ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি স্থানীয়দের কাছে গুইমারার ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ইউপিডিএফের একটি সূত্র নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সকালে ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা সাংগঠনিক কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় দেওয়ান পাড়া নামক স্থানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

ছবিঃ মাসুদ রানা
গুইমারা থানার ওসি মো. রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিন্তলসহ ইউপিডিএফ সংগঠকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।’
নিহত অংথোই মারমার বাবার নাম কংহ্লাউ মারমা। তার বাড়ি উপজেলার বুদুংপাড়ায় (যৌথ খামার) বলে জানা গেছে।
গুইমারা থানার ওসি মো. রশিদ বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে মরদেহের পাশেই ৫ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। লাশের প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৫টি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। নিহতের নামে থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে এবং তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন।’ এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি বলেও ওসি জানান।