সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পার না হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে বলেন, রিটকারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় সম অধিকার ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্নের যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন— বিকিনি লুকে উত্তাপ ছড়ালেন এশা
এর আগে চলতি বছর এ বিষয়ে পৃথক চারটি রিটে জারি করা রুলের ওপর গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
গত ৭ নভেম্বর অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন— সারা দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ শামীম কামাল, মোঃ আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র পণ্ডিত নামের চার ব্যক্তি চলতি বছরে পৃথক রিট করেন। ওই রিটে জারি করা চারটি রুলের শুনানি একইসঙ্গে শুরু হয়।
রিটে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং এ পদত্যাগ বা অবসর যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।
তিন বছরের এমন বিধান বাতিল চান রিটকারীরা।