আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, গণতন্ত্রের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার পর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করছেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন— ৪১তম বিসিএস: ৪০৫৩ শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সভায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। টানা তিনদিন চলবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা। আজকের পর ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগ্রাম করে গেছে। আর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে।
আরও পড়ুন— মানবতাকে বাঁচাতে যুদ্ধকে ‘না’ বলুনঃ বিশ্বনেতাদের শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ল জারি করে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেছিল। সে সময় ভোটের না বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তারা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশ কথা বললেও যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছিল তখন তাদের চেতনা কোথায় ছিল?
আরও পড়ুন— দেশে ফেইসবুক-ইউটিউবকে নিবন্ধনে আনতে আইন হবেঃ তথ্যমন্ত্রী
১৯৯৬ সালের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোটচুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে।
এসময় নিজের সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে। এতে ৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী করা হয়। সেই আইনের অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।