সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ঢিলেঢালা অবস্থান থাকলেও বেলা গড়ানোর সাথে সাথে নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে মিডওয়ে হোটেলের সামনে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত থাকলেও দুপুর ১টায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি কার্যালয়ের সামনেও বসে থাকতে দেখা গেছে পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে।
আরও পড়ুন—
এদিকে কার্যালয়ের সামনে যে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং কিংবা লোকসমাগমে কঠোর রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া রাস্তায় যানচলাচল থাকলেও তা স্বাভাবিকের তুলনায় মোটামুটি কম।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পল্টন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেন্টু বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষ নিরাপদে তাদের কাজ করতে পারছেন।’
তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতার তথ্য বা পুলিশি পাহারা জোটদার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও এমন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামনে এলে আমাদের ফোর্স সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রস্তুত আছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে এখন পর্যন্ত কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি বলেও নিশ্চিত করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।’
আরও পড়ুন—
এদিকে একতরফা তফসিল, শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশে বাধা, হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এ বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলটির শীর্ষ নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের পঞ্চম ধাপের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।
আরও পড়ুন—
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যায়। ওই ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি।
প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও তৃতীয় দফায় ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে একই কর্মসূচি পালন করছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।