ঢাকাTuesday , 7 November 2023
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা

    Link Copied!

    তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিকেলে গণমাধ্যমে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

    তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা তৈরি পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি আমরা ঘোষণা করছি। তাদের ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। এছাড়া, সঙ্গে তাদের জন্য বছরে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।

    আরও পড়ুন—    জাতীয় নির্বাচনঃ ৩৩ কেন্দ্রের জন্য হেলিকপ্টার চান মাঠ কর্মকর্তারা

    পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামোর ধাপ সাতটি থেকে কমিয়ে পাঁচটি নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

    এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভা শুরু হয়। এতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, নিরপেক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ।

    বৈঠক শেষে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন মজুরি কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হবে।

    আরও পড়ুন—    উপ-নির্বাচনঃ লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

    এ সভায় মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ডের সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়।

    তার আগে পঞ্চম সভায় মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৪ টাকার প্রস্তাব করেছিলেন। বিপরীতে মজুরি বোর্ডে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।

    চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যায় গত ১ নভেম্বরের সভা। ওই সভায় মজুরি নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও শ্রমিকদের মজুরির গ্রেড সাতটি থেকে কমিয়ে পাঁচটি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল মালিকপক্ষ। সে সময় বলা হয়েছিল যে, নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    গত ১ নভেম্বরের সভা শেষে মালিকপক্ষ বলেছে, দাবি করা সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা পাবেন না শ্রমিকরা। তবে, তাদের দেওয়া প্রস্তাব ১০ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বনিম্ন মজুরি চূড়ান্ত করা হবে। ষষ্ঠ সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

    ২০২৩ সালে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য বাস্তবসম্মত নিম্নতম মজুরি কাঠামো প্রস্তাবনার জন্য শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো হচ্ছেঃ

    পোশাক শ্রমিকদের মাসিক মূল মজুরি সর্বমোট মাসিক মজুরির ন্যূনতম ৬১ শতাংশ করা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের পদ ও শ্রেণিবিন্যাসে গ্রেডিং সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে সাতটি গ্রেডের পরিবর্তে পাঁচটি গ্রেডে ভাগ করা।

    আরও পড়ুন—    ইসির সঙ্গে সকালের সংলাপে অংশ নিলো আঃলীগসহ ১৩ দল

    মূল মজুরির ওপর ১০ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। পর পর দুটি গ্রেডের মধ্যে ন্যূনতম মজুরির পার্থক্য ১০ শতাংশ করতে হবে। নতুন শ্রমিকদের জন্য তিন মাস শিক্ষানবিশকাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

    পিস রেট বা প্রোডাকশন শ্রমিক: সোয়েটার কারখানা বা পিস রেটে কর্মরত শ্রমিককে প্রোডাকশন না থাকলে বিগত ৩ মাসের মজুরির গড়/৩ নং গ্রেডের বেসিক মজুরি পরিশোধ ও কাজের আগে রেটের ফয়সালা করতে হবে।

    উৎসব ভাতা: যেকোনো সম্প্রদায়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা স্ব স্ব সম্প্রদায়ের প্রধান দুটি উৎসবে প্রতিটিতে ছয় মাসের অধিক চাকরির ক্ষেত্রে এক মাসের মূল মজুরি হারে দুটি উৎসব ভাতা ও ৬ মাসের অনধিক চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিটিতে ১৫ দিনের মজুরি হারে দুটি উৎসব ভাতা পাবেন। শ্রমিকের উৎসব ভাতা এক মাসের মূল মজুরির কম হবে না।

    স্বীয় পদে/গ্রেডে চাকরির সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

    আরও পড়ুন—    পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার ২

    পোশাক কারখানায় গ্র্যাচুইটি সিস্টেম প্রচলন করতে হবে। তবে, অন্তর্বর্তীকাল হিসেবে ১০ বছরের অধিক সময় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সমান হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অবসরের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

    মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ছয় মাস দিতে হবে। শ্রমিকদের পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা দিতে হবে।

    নতুন মজুরি নির্ধারণের পর যাতে স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ি ভাড়া না বাড়ে, তা তদারকি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

    গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে (সরকারের ভর্তুকিমূলক পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে)।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ

    জে এম আলী নয়ন

    সর্বমোট নিউজ: 4982

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
  • আমাদেরকে ফলো করুন…