সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি আদায়ে আবারও ২ দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর বিরতি দিয়ে আগামী রবিবার (৫ নভেম্বর) থেকে সোমবার (৬ নভেম্বর) সড়ক, নৌ ও রেলপথে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণ দেন।
রিজভী বলেন, ‘রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।’ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন— মিরপুরে শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পরিস্থিতি থমথমে
একই দাবিতে বিএনপির ডাকা ৩ দিনের কর্মসূচি দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আজ।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। গত ১৫ বছর ধরে আমাদের ওপর হামলা-মামলা চলছে। সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত তিন দিন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ পালন করছে। কারণ জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা জানেন ২৮ অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। সাধারণ মানুষের এই গণজোয়ার ক্ষমতাসীনরা সহ্য করতে পারেনি। সে জন্য একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেই দিনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশটি পণ্ডু করে দেওয়া হয়। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রমাণিত হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত।’
আরও পড়ুন— ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত বলছে, এটা সরকারের পূর্ব পরিকল্পনার ফসল। সেদিনের সমাবেশটি কোনো আনন্দের সমাবেশ ছিল না। সেটি ছিল প্রতিবাদের সমাবেশ, মানুষের অধিকার সুরক্ষার সমাবেশ। এ দেশের মানুষ নিজেকে বন্দি মনে করছে, অবরুদ্ধ মনে করছে। দেশে শ্বাস নেওয়া যেন অত্যন্ত কষ্টকর। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশ পার করছে মানুষ। এ কারণেই ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ছিল।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ শেষ হয়েছে। দেশের জনগণ এ অবরোধ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। তাই সরকারের নানা হুমকি ধমকির পরও দেশের মানুষ সেটি পালন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিক ও ট্রাক মালিকদের নির্দেশ দিয়েও রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারেনি। রাস্তাঘাট ফাঁকাই থেকেছে।’