কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির অবরোধ চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে বিএনপি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় এ সংঘর্ষে ১৫ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন— ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন বড় ছয়সূতি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা শেফায়েত উল্লাহ (২০) ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০)।
এ বিষয়ে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রুখন উদ্দিন বলেন, কুলিয়ারচরে সংঘর্ষে শেফায়েত উল্লাহ নামে একজনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। তিনি বড় ছয়সূতি গ্রামের কাওসার মিয়ার ছেলে।
তবে এ বিষয়ে জানতে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তুফাকে (ওসি) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন— নেতানিয়াহু মানবতার শত্রুঃ সংসদে তথ্যমন্ত্রী
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, অবরোধকারীরা রাস্তায় বেরিকেড সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ছয়সূতি ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুলসংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।