আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন ও প্রতিটি মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জিয়া কর্তৃক সংঘটিত সকল অপচর্চা বন্ধ করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে দেশে ফিরে এসেছিলাম। যুদ্ধাপরাধ, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের সরকারই করে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
আইনজীবী মহাসমাবেশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টার কিছু সময় পরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নবনির্মিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের উদ্বোধনস্থলে পৌঁছান সরকার প্রধান।
আরও পড়ুন— দুর্গাপূজায় গুজব ছড়িয়ে কেউ পার পাবে নাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচার বিভাগের উন্নয়নে দেশব্যাপী ব্যাপক কাজ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দাবি অনুযায়ী আইনজীবীদের জন্যেও ভবন করে দেওয়া হবে। এ সময় জেলায় জেলায় আইনজীবীদের জন্য প্লটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া। শুধু বিচার হীনতার সংস্কৃতি নয়, হ্যা-না ভোটের মধ্যদিয়ে নিয়ম ভেঙে সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ভোট করে, দেশে ভোট কারচুপির সংস্কৃতির চালুও করে জিয়া।
জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে জিয়া ও তাঁর স্ত্রী যে জড়িত, তা তাঁর ক্ষমতা দখল ও সুবিধাভোগী হওয়া থেকেই বোঝা যায় বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিলেন। খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কারামুক্ত করে সমাজ ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন— দু-একটা দল অংশ না নিলেও নির্বাচন বন্ধ হবে নাঃ ওবায়দুল কাদের
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যারা অগ্নিসন্ত্রাসের মতো নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার ত্বরান্বিত করতে আইনজীবীদের নজর দিতে হবে। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত না করলে অপরাধ বাড়বে। স্মার্ট জুডিশিয়ারি গঠন করে সুবিচার দ্রুত ও নিশ্চিত করতে বিচারক ও আইনজীবী সবাইকে সহায়তা দিতে কাজ করছে সরকার। নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব-এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসীদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হতে হবে। এই বিচারের মধ্য দিয়েই বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হবে। আমাদের লক্ষ্য এদেশের মানুষ বিচার পাবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে আবারও পণ্যমূল্য বাড়ছে। এই সময়ে আন্দোলনের নামে আবারও সন্ত্রাসের চেষ্টা করলে বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।