বাস মালিদের দ্বন্দ্বের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে রাজবাড়ী থেকে ঢাকা রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে কোনোপ্রকারের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের বাস রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে চলাচল নিয়ে রাজবাড়ীর বাস মালিক সমিতি আটকে দেয়। এর জেরে ঢাকার গাবতলীতে রাজবাড়ীর কোনো বাস ঢুকতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। আবার সেখান থেকে কোনো বাস আসতেও দিচ্ছে না। তাই রাজবাড়ী থেকে ঢাকা রুটের কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে রাজবাড়ী থেকে দেশের অন্য রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। স্বাভাবিক আছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচলও।
দেখা গেছে, ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ, নেই কোনো কাউন্টার মাস্টার। ঢাকার যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের লোকাল পরিবহন বা বিকল্প উপায়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত সময় ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ৬দিন বাড়ী থেকে পলাতকঃ ধর্ষণে খালার সহায়তা ও দেহ ব্যাবসা চেষ্টার অভিযোগ কিশোরীর
ঢাকামুখী যাত্রী লতিফ মন্ডল বলেন, ‘রাত ১০টায় সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট। যে কারণে সকালে ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। বড়পোল এসে দেখছি ঢাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ। এখন কষ্ট করে মালপত্র নিয়ে লোকাল বাসে যেতে হচ্ছে।’
আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কিছু মালামালসহ স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য শহরে মুরগিরফার্ম এলাকায় এসে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ঢাকার গাড়ি বন্ধের বিষয়ে আমার জানা ছিল না। এ গরমে লোকাল বাসে যাওয়ার মতো অবস্থা নাই বিধায় বাসায় ফিরে যাবো।’
এমএম পরিবহনের সুপারভাইজার স্বপন বলেন, ‘ঢাকার বাস এভাবে মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি আমরাও ভোগান্তিতে পড়ি। কাউন্টারে অসহায়ভাবে বসে যাত্রীদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। মালিকপক্ষ আমাদের কোনো বেতন ভাতা দেন না। দিনমুজুরি দেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে পরিবহন শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। আসলে ঢাকা ও রাজবাড়ীর বাস মালিক পক্ষে কিছু চাহিদায় এ সমস্যা হয়েছে। আর ভোগান্তি পোহাচ্ছে জনগণ।’
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিছু না জানিয়ে গাবতলী থেকে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রাজবাড়ীর গাড়ি থাকলেও কোন যাত্রী উঠতে দিচ্ছে না। এ বিষয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বসবো।’