গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় মন্টু মিয়ার বাড়ী থেকে সরকারি জিআরের ১২’শ কেজি চাল দু’টি অটোভ্যান যোগে কালোবাজারে পাচারের সময় সাঘাটা-জুমারবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের ডাকবাংলো বাজার এলাকায় আটক করে স্থানীয়রা।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় সাঘাটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সাঘাটা থানা পুলিশ এসে চালসহ অটোভ্যান দু’টি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে ৬ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হয়। তবে এই চাল বিতরণের সময় ইউনিয়ন পরিষদের একটি চক্র পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় মন্টু মিয়ার বাড়ীতে সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে কালোবাজারের বিক্রি করতে দু’টি অটোভ্যান যোগে সাঘাটা-জুমারবাড়ী সড়কের ডাকবাংলো বাজার এলাকায় নিয়ে আসলে স্থানীয়রা চাল ভর্তি ভ্যান দু’টি আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে চালসহ ভ্যান দু’টি জব্দ করে।
এ ব্যাপারে জানতে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন- সেতু নির্মাণে ভুল নকশায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ
বিষয়টি জানতে হলদিয়া ইউনিয়নের সরকারি চাল বিতরনের সময় সরকারিভাবে নিযুক্ত তদারকি কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
সাঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ জানান, ভ্যানসহ ২৮/২৯ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় তিনি সরেজমিনে চালগুলো পরীক্ষা করেন। চাল সরকারি তবে বস্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। চালগুলো থানায় জব্দ রয়েছে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকিব হাসান জানান, দু’টি অটোভ্যানসহ ৩২ বস্তা চাল জদ্ব করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসাহাক আলী জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাত থেকেই তদন্ত চলছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তাসহ তিনি ঘটনাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলসহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।