১১ বছর আগে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের ভয়ংকর পেস আক্রমণে অল-আউট ভারত
এদিন আদালতে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুলসহ অন্যান্য আসামিরা। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রার্থনা করেন আসামিপক্ষ। অন্যদিকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানাধীন মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির ২০০/২৫০ নেতাকর্মী লাঠসোটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি চালক মোঃ আয়নাল।
মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর মারা গেছেন শফিউল বারী বাবু।