বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত চরমে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ৩০ জনের মতো সেনা হারিয়েছে জেরুজালেম।
সোমবার (২১ আগস্ট) জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত বলেছেন, এই সহিংসতা গত বছরের মৃত্যুর সংখ্যাকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। এটি ২০০৫ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানি। জাতিসংঘের বরাত এ খবর প্রকাশ করেছে আরব নিউজ ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যেই চলতি বছরের নিহতের সংখ্যা আগের বছরকে অতিক্রম করে গেছে। এমনকি সাম্প্রতিক বার্ষিক পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড জানান, নিহতের এ পরিসংখ্যান গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সহিংসতার ঘটনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- মাধবপুরে পানির নিচ থেকে গ্রেনেড উদ্ধার
তিনি আরও বলেন- ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা বেড়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনে ব্যর্থতার কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা প্রায় প্রতিদিনই সহিংসতায় নিহত ও আহত হচ্ছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন চলমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, একতরফা পদক্ষেপ শত্রুতা বাড়াবে।
অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ, ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা, ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক ও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কারণেই দিনদিন সহিংসতা বেড়ে চলেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সোমবারের বৈঠকের চেয়ার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ক্রমবর্ধমান সহিংসতা কমিয়ে আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংঘাত অবসানের পক্ষে।