বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য ভারত সফর করে আসা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রতিনিধি দলের ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের ভূমিকা কী থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের কানেকটিভিটি অনেক বেশি। পার্সন টু পার্সন কানেকশন, আপনারা জানেন। বাংলাদেশে কী হচ্ছে তারা সব কিছু জানে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ে তারা জানে, তাদের আগ্রহ আছে।’
আরও পড়ুন- মিয়ানমারে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার। এখানে ভারতের কিছু করার নাই। ভারত নির্বাচনে কী করবে? তাদের কিছু করার নাই। তারা কোনো মন্তব্য করে নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অপর এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভারতের জন্য চীন সবসময় দুশ্চিন্তার ফ্যাক্টর। সেজন্যই তাদের সীমান্তে মাঝে মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমরা বলেছি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। সেই নীতি নিয়েই আমরা চলি কিন্তু ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা এই সম্পর্কের সঙ্গে কারও সম্পর্ক তুলনীয় নয়। সেই প্রসঙ্গে এই বিষয়টি এসেছে।’
আগামী নির্বাচনে সহিংসতা বিষয়ে ভারতের ধারণা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। দুই দেশেরই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ আছে, তথ্য আদান প্রদান হয়।’
বিএনপির প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে এখন দেখেছে যে কিছু নাই, পানিতে ডুবে যাবে। বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যত রাজনীতি কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে’
আরও পড়ুন- রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলের রোডম্যাপ ঘোষণা
ভারত সফর করা তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিএনপি’র বিদেশ প্রীতি আছে, তাদের ধর্না দেওয়া কমে নাই। সেটি করে যে কোনও লাভ হচ্ছে না, সেটা অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জন্য এই সুরে কথা বলছে। আমরা ভারত গেছি আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তারা নিজেরা ধর্না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়। ধর্না দিয়েও লাভ হচ্ছে না, তাই এখন উল্টা কথা বলা শুরু করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। এখানে যে সমস্ত দাবিগুলো আছে সেগুলোর প্রয়োজন নাই এটা তারা বুঝে। তারা মনে করে সংবিধান আলোকে অবাক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট বাংলাদেশ হবে। তবে আমাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গিদের একটি ক্রস বর্ডার কানেকশন রয়েছে এটা নিয়ে তারা ওয়াকিবহাল আছে।’
এসময় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।