কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলের প্রস্তুতির সময় কিশোরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকালে শহরের একরামপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এছাড়াও রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি দলটির।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ হাসান জুম্মন, করিমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি আতাউর রহমান, পাকুন্দিয়া উপজেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ মানসুর, সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, পাকুন্দিয়া পৌর শাখার অর্থ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, ছাত্রশিবির বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাকিম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, মোঃ ইয়াসিন, ফাইজ উদ্দিন, আবু সালেহ, মোঃ মোখলেছ, ডাক্তার আব্দুল হাই, আব্দুল ওয়াহাব, মোঃ জিল্লুর রহমান, সাকিব।
আরও পড়ুন- ৪৬ বছর বয়সী রহিমার এসএসসি জয়
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় শহরের একরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ শুরু করার জন্য জামায়াতের কর্মীরা একত্রিত হন। তবে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় মিছিলের স্থান থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটক করেছে।’
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। তাদেরকে বিনা ওয়ারেন্টে হয়রানির উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানাই ও তাদের মুক্তি চাই।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।