বিএনপির দুই নেতাকে আপ্যায়নের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এটাই প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা। তিনি মানবতার নেতা। কিন্তু আরেক নেতা (বিএনপি চেয়ারপারসন) জ্বালাও-পোড়াও করা, হত্যাকাণ্ড করা এসব পছন্দ করেন।’
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের একটি অডিও শুনেছি। যেখানে তিনি বলছেন, ‘তোমরা আগুন ধরাও। এগুলো আমাদের দেখাতে হবে। জায়গা মতো দেখাতে হবে।’”
আরও পড়ুন- ৪ পয়েন্টে অ্যাকশনে পুলিশ, গয়েশ্বর-আমানসহ আটক অর্ধশতাধিক
এসময় সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, আপনি একজন নেত্রীর কথা বলছেন, যিনি না কি আগুন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারপরও সেই নেত্রীর শ্বশুরকে ডিবিতে এনে আপ্যায়ন করা হয়েছে। আরেকজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস দিয়ে জুস খাইয়েছেন। যারা পুলিশের ওপর হামলার জন্য নেতৃত্ব দিলো, তাদের আপনারা তোষামোদ করছেন?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নেহায়েত ভুল ধারণা। আমানউল্লাহ আমানকে যখন আটক করছে, তখন দেখছেন রাস্তার মধ্যে পরে গিয়েছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, মানবতার কাজও করে। বঙ্গবন্ধু যেটা আহ্বান করেছিলেন মানবতার পুলিশ বাহিনী হওয়ার জন্য, সেই কাজই করেছে পুলিশ। আমানকে পুলিশ নিয়ে হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করেছে, তার চিকিৎসা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন ‘আপনারা এটাও দেখেছেন- যখন কোকোর মরদেহ নিয়ে আসে, তখন খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কাছে গিয়েছিলেন। সেদিন তার মুখের ওপর দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। দরজা তো খোলেইনি, বাইরে এসে কুশল বিনিময়ও করেনি। সেই দৃশ্যও আপনাদের মনে আছে।’
আরও পড়ুন- বিএনপি নেতা আমানকে দুপুরের খাবার ও ফল পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী। যখন তিনি শুনলেন যে, গয়েশ্বর রায় ও আমানউল্লাহ আমান হালকা ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী তাদের যথাযোগ্য চিকিৎসা কিংবা যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটাই হলো মানবতার নেতা।’
এর আগে সকালে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গেলে গাবতলী থেকে আমানউল্লাহ আমান ও ধোলাইখাল মোড় থেকে গয়েশ্বর রায়কে আটক করে পুলিশ। এরপর তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরমধ্যে আমানকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে তাকে খাবার, বিভিন্ন প্রকার ফল ও জুস এবং ফুলের তোড়া দেয়।
অন্যদিকে গয়েশ্বর রায় ধোলাইখালে আহত হলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ফল ও বিভিন্ন পদের খাবার দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।