বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে এবং দুই দেশের যোগাযোগ বাড়াতে পালক হিসেবে যুক্ত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ ৫০ ভাগের মতো শেষ হয়েছে। এই সড়কটি আগরতলা দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতকে সংযুক্ত করবে। নির্ধারিত সময় ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে মহাসড়কটি পুরোপুরি নির্মাণ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১ কিলোমিটার।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়কের কাজ পরিদর্শন করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনারসহ অন্যান্যদেরকে আখাউড়া স্থলবন্দরে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মোঃ আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন- টোল ফ্রিসহ ৬ দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধের ঘোষণা
২০১৭ সালে একনেকের এক বৈঠকে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন হয়। তবে করোনার প্রভাব ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজে প্রভাব পড়ে। একাধিবার প্রকল্প শেষ করার সময় বাড়ানো হয়। ভারতীয় ঋণ ও বাংলাদেশি অর্থায়নে মোট ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সড়কটি নির্মাণ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত অংশে একদিকে দুই লেনের কাজ করায় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্তও একপাশের সড়ক যান চলাচালের জন্য খোলে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিদর্শনের সময় প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ সাংবাদিকদেরকে জানান, সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান আছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার যে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এর মধ্যেই শেষ হবে।
আরও পড়ুন- কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ইরাকের
বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ কাজের গতিবিধি কেমন এবং প্রকল্পটি তাড়াতাড়ি শেষ করতে কার কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটি দেখতে এসেছি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সড়কটি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে। যাতে করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারি। আমি খুবই খুশি যে এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেছেন যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।’