পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই কোথাও।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও যানজট দেখা যায়নি। তবে, বেশি ছিল যানবাহনের চাপ।
মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে কোথাও ধীরগতি, কোথাও স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী লেনে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। এরপর দুপুর ২টার পর গোলচত্বর এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে বিকেল ৩টার দিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে হাতিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে।
এর আগে, সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৮ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, দুপুরের পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
আরও পড়ুন- টাইটনিক বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ টাকায়
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ‘যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছি। সেতু দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে যে গাড়ি পারাপার করে, এখন তার চেয়ে বেশি গাড়ি পারাপার করলেও কোথাও যানজট নেই।’
এদিকে, দুপুরে মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ওলিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শরফুদ্দীন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, সবাইকে নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ঈদে আমরা নির্বিঘ্নে মানুষকে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এবারও আমাদের একই প্রচেষ্টা আছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’